ঢাকার ১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী যাঁরা
ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চিঠি দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি আসনেই দুজনকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৪ আসনে দলীয় চিঠি দেওয়া হয়েছে সাবেক সাংসদ সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ ও তাঁর ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদকে। ঢাকা-৫ আসনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবীউল্লাহ নবী ও দলের কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা–বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া। ঢাকা-৬ আসনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। ঢাকা-৭ আসনে প্রয়াত সাংসদ নাসির উদ্দীন আহাম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী নাছিমা আক্তার কল্পনা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম। ঢাকা-৮ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকা-৯ আসনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব–উন-নবী খান সোহেল। ঢাকা-১০ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ও তাঁর জামাতা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম। ঢাকা-১১ আসনে মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম ও মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক এ জি এম শামসুল ইসলাম। ঢাকা-১২ আসনে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম ও মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান। ঢাকা-১৩ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও আতাউর রহমান ঢালী। ঢাকা-১৪ আসনে সাবেক সাংসদ এস এ খালেকের ছেলে দারুস সালাম থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজু ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। ঢাকা-১৫ আসনে যুবদলের নেতা মামুন হাসান। ঢাকা-১৬ আসনে মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আহসানুল্লাহ হাসান ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন। ঢাকা-১৭ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম। ঢাকা-১৮ আসনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন সাদী।
দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়ে ঢাকা-৬ আসনের ইশরাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আছি। তফসিল ঘোষণার পরও হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অসম্ভব বৈরী পরিবেশেও মাঠে সক্রিয় রয়েছি। ভোটযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকাব।’
ঢাকা-১২ আসনের সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এই এলাকাতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা গড়তে ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা-১৪ আসনের চিঠি পেয়ে এস এ সিদ্দিক বলেন, চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সমর্থনের প্রতিফলন ঘটেছে। মিরপুরের সন্তান হিসেবে তিনি এই আসনটি পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দিতে চান।
ঢাকা-১৮ আসনের এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে থেকে ধানের শীষকে বিজয়ী করে এই আসনটি দলকে উপহার দেব।’
No comments:
Post a Comment