চুক্তি নিয়ে সরাসরি টিভি বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানালেন মে
বিরোধী দল লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সরাসরি টিভি বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ‘দ্য সান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার তিনি এমন চ্যালেঞ্জ জানান। আর এ খবর পাওয়ামাত্রই লেবার দলের এক মুখপাত্র জানিয়ে দেন, মুখোমুখি বিতর্কের এই সুযোগ করবিন উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাসের চেষ্টার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট নামে পরিচিত) প্রশ্নে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ। ইইউ চুক্তি নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে যুক্তরাজ্যে চলছে গৃহবিবাদ। বিরোধী দলসহ সরকারি দলের অনেক এমপি এই চুক্তির বিপক্ষে কথা বলছেন। পার্লামেন্টে এমপিরা অনুমোদন না করলে এই চুক্তি কার্যকর হবে না। তাই থেরেসা মে চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায়ে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই সরাসরি টিভি বিতর্কের চ্যালেঞ্জ দিলেন মে।
থেরেসা মে বলেন, যাঁরা বিচ্ছেদ চুক্তির সমালোচনা করছেন, তাঁরা বিকল্প কোনো প্রস্তাব দিতে পারেননি। বিচ্ছেদ বাস্তবায়নে সম্পাদিত চুক্তি সর্বোত্তম বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ নিয়ে টেলিভিশনে সরাসরি বিতর্কের জন্য করবিনকে চ্যালেঞ্জ জানান মে। অথচ তিনি গত বছর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে নেতাদের টিভি বিতর্কে অংশ নেননি।
লেবার নেতা করবিন বিতর্কে রাজি। অন্য দলগুলোর নেতারাও এই বিতর্কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতা ভিন্স ক্যাবল বলেন, একমাত্র তাঁর দল চুক্তি প্রশ্নে গণভোট চাইছে। এর ফলে বিতর্কে এই মতটি তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া উচিত। গ্রিন পার্টি বলেছে, যেকোনো বিতর্কে অবশ্যই সব দলের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ওয়েলসের প্রাদেশিক দল প্লাইড কামরুর নেতা অ্যাডাম প্রাইস বলেন, টিভি বিতর্কে তিনি ওয়েলসবাসীর মতামত তুলে ধরতে প্রস্তুত। আর স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টারজন টুইট করে জানিয়েছেন, সব নেতার অংশগ্রহণে টিভি বিতর্কে তিনি প্রস্তুত।
ডিসেম্বরের শুরুতে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে তুলবেন মে। পাঁচ দিন বিতর্কের পর ১১ ডিসেম্বর চুক্তির ওপর ভোটাভুটি হবে। তার আগে ৯ ডিসেম্বর এই টিভি বিতর্ক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আর বিতর্কে কে কে অংশ নেবেন—সেই ব্যাপারে আয়োজক চ্যানেল সিদ্ধান্ত নেবে।
No comments:
Post a Comment