তারুণ্যকে কাজে লাগাতে জীবনমূখী শিক্ষা দিতে হবে : ড. আতিউর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, তরুণরাই বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। সালাম বরকতের মত তরুণদের রক্তে জন্মেছে বাংলাদেশ। তবে আজকের তরুণদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। তাদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। এই তারুণ্যকে কাজে লাগাতে জীবনমূখী শিক্ষা দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসুন্ধরা সিমেন্টের পৃষ্টপোষকতায় ওয়ার্ল্ড লিংকআপ আয়োজিত ‘তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় ড. আতিউর রহমান বলেন, গত দশ বছরে দেশের যে অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে তা বিস্ময়কর। ১৯৭২ সালে অর্থনীতির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। দরিদ্র ছিল ৫০ শতাংশ আর মাথাপিছু আয় ছিল ৮৯ ডলার। আমরা দারিদ্র্য দূর করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। সুন্দর সমাজ গড়তে চেয়েছি। এই তারুণ্যকে কাজে লাগাতে হলে তাদের শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। দেশের অর্থনীতির নেতৃত্ব দেবে তরুণরা। বাংলাদেশ আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে।
টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মের দায়িত্বের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, টেকসই উন্নয়ন হলো আজকে আমরা যা করছি আগামী দিনের যারা নাগরিক হবে তাদের জীবনে যেন কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। এমনভাবে পণ্য ব্যবহার করব, সম্পদ ব্যবহার করব যাতে আমাদের সন্তানরা সেই সম্পদ থেকে বঞ্চিত না হয়।এছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ইনোভেশন ল্যাবের ব্যবস্থা রাখার দাবি রাখেন ড. আতিউর রহমান।
ওয়ার্ল্ড লিংকআপ এর এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্যানেলের সমন্বয়ক হিয়া মুবাশ্বিরা ও বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জুয়েল কিবরিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment