তাইওয়ানের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় নির্বাচনে দলের বড় ধরনের এই পরাজয়ের দায়ভার নিয়ে গতকাল ডিপিপির চেয়ারওমেন হিসেবে পদত্যাগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তবে এটি স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন হওয়ায় তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল রয়েছেন। এক বছরের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে তাঁকে পুনর্নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সম্প্রতি চীন দ্বীপজুড়ে সামরিক মহড়া শুরু করলে এবং তাইওয়ানের কূটনৈতিক মিত্রদের একে একে কেড়ে নিলে তাইওয়ানজুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়।
এই নির্বাচনে সাই ও তাঁর সরকার অভিযোগ করেছে, তাদের দলকে পরাজিত করার জন্য চীন ‘রাজনৈতিক তর্জন–গর্জন’ ও ‘ভুয়া খবর’–এর মাধ্যমে ভোটারদের দোদুল্যমান করার চেষ্টা করেছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ডিপিপির সেক্রেটারি জেনারেল হুয়াং ইয়ো-ফু গতকাল অভিযোগ করেছেন, বারবার ‘ভুয়া খবর’ ছড়িয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে কাজ করেছে চীন। তিনি আরও বলেন, এ থেকে গভীর শিক্ষা হয়েছে। ভুয়া খবর অনেক মানুষের চিন্তাভাবনাকে এলোমেলো করে দেয়। এ ধরনের খবরের কারণে লোকজন স্পষ্ট কোনো তথ্য পান না। শুধু তাইওয়ানে নয়, বিশ্বব্যাপী এ সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে তাঁদের দল উপায় খুঁজে পাবে বলে মনে করেন হুয়াং ইয়ো-ফু।
২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিকে ‘চায়নিজ তাইপে’–র পরিবর্তে তাইওয়ান নামে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে গণভোট হয়। ১৯৮১ সালে এক সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘চায়নিজ তাইপে’ নামের ব্যাপারে সম্মতি হয়। তবে এই গণভোটে খুব বেশিসংখ্যক ভোটার সাড়া দেননি। বেশির ভাগ নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এটিকেও বিজয় হিসেবে দেখছে চীন।
এ ব্যাপারে চীনের তাইয়ানবিষয়ক কার্যালয় বলেছে, এতেই বোঝা যায়, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘তাইওয়ানিজ অ্যাথলেট’ নাম বসানো হচ্ছিল। ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ চাওয়ার উদ্যোগ ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment