বিয়ের কার্ড, সঙ্গে আরও কিছু
বিশেষ নকশার জন্য বসেই তৈরি করে নিতে পারবেন কার্ড দেওয়ার ডালা, বাক্স বা ঝুড়ি। নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে আরও থাকতে পারে মিষ্টি, ফুল, ফল, মোমবাতি, বিভিন্ন কৃত্রিম মুক্তা, খুরমা, বাদাম, সুগন্ধি ইত্যাদি। ওয়েডিং ডেকর বাই নুসরাতের স্বত্বাধিকারী নুসরাত নওরিন বলেন, বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে উপহারসামগ্রী দেওয়ার শুরুটা কয়েক বছর থেকেই। এখন শুধু বিয়ে বা বউভাতে নয়, পানচিনির নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গেও অতিথিদের দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহারসামগ্রী।
উপহারসামগ্রী ও কার্ড দেওয়ার এই ধরন একেবারেই নতুন। সাধারণত দিনের বেলার ও খোলা স্থানে গায়েহলুদ, মেহেদির অনুষ্ঠানে বেশ মানাবে। দিনের বেলায় যে ধরনের অনুষঙ্গ লাগবে তা–ই দেওয়া হয় এতে। সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, ছোট খেলনা পাখা, ছোট গামছা বা রুমাল, কিছু মুক্তা ও ফুল। কার্ডটিতে নকশা হতে হবে উৎসবের ধরন অনুসারে।
এ ধরনের উপহারসামগ্রীর ঝুড়ি চাইলে নিজ হাতেও তৈরি করা যায়। বিয়ে বা বউভাতের পাশাপাশি গায়েহলুদেও বেতের বা বাঁশের ঝুড়িতে নিমন্ত্রণপত্র ও উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়।
কার্ডের সঙ্গে শুকনা মিষ্টি, খুরমা, ফল, কাঠবাদাম, সুগন্ধি আর ফুল দিয়ে এ ধরনের ঝুড়ি সাজানো যেতে পারে। বাইরে সার্টিনের কাপড় মুড়িয়ে হাতলে দিতে পারেন নেটের বা টিস্যু কাপড়। বিয়ে হলে লাল এবং গায়েহলুদ হলে কমলা, সবুজ বা হলুদ রঙের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
এ ধরনের নিমন্ত্রণপত্র বাজারে একেবারেই নতুন। এ ক্ষেত্রে কার্ডটি পছন্দমতো প্রিন্ট করে একটি কাঠের ফ্রেমে বাঁধাই করতে হবে। কার্ডটি অবশ্যই রঙিন ও বিভিন্ন নকশা থাকতে হবে। চাইলে ঘরে বসেও তৈরি করতে পারেন। শোলা গোল করে কেটে তার ওপর ফ্রেমটি বসিয়ে সামনে কিছু মুক্তা দিয়ে ডিজাইন করলেই হয়ে যাবে। বিয়ে বা বউভাতে এমন কার্ড বেশ মানানসই।
বিয়ের কার্ডের সঙ্গে নানা রকম উপহার দেওয়ার চল দেখা যাচ্ছে। ছবি: নকশা, কৃতজ্ঞতা: ওয়েডিং ডেকোর বাই নুসরাত নওরিন।
এ ধরনের বাক্সের জন্য ডিজাইনারদের কাছে যেতে হবে। কার্ডবোর্ডের বাক্সটি কাতান, মখমল বা সার্টিন কাপড়ে মুড়িয়ে, বিভিন্ন লেস দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করা হয়। এর ভেতরে শুকনো মিষ্টি, খুরমা, সুগন্ধি দেওয়া যায়।
এ ছাড়া ডালা, কুলায় নকশা করে, পাটির খামে বা পালকি ইত্যাদির সঙ্গেও নিমন্ত্রণপত্র দেওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment