Monday, November 26, 2018

মাহাবুব আরার বিরুদ্ধে লড়বেন জাপার রশিদ

মাহাবুব আরার বিরুদ্ধে লড়বেন জাপার রশিদ

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন জাতীয় সংসদের বর্তমান হুইপ মাহাবুব আরা বেগম। তিনি এখানে মহাজোটের প্রার্থী। তবে শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির করছেন সাবেক সাংসদ আবদুর রশিদ সরকার। মনোনয়ন না পেলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট হলেও এই আসনে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল করিম। বিএনপি থেকেও দলীয় মনোনয়ন পেতে দুজন তদবির করছেন। এ ছাড়া বিগত দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী মিহির ঘোষ।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বলেন, মাহাবুব আরা বেগম বর্তমানে জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি। তিনি নির্বাচনের মাঠে কখনো হারেননি। নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুর রহমানকে হারিয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনেও পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন। তাঁর সমর্থকেরা মনে করেন, সাধারণত সাংসদদের নামে যেসব অভিযোগ থাকে, সেগুলো তাঁর মধ্যে নেই। পরপর দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে কখনো থানা-পুলিশ, অফিস-আদালতে তদবির করেননি। সৎ মানুষ হিসেবে এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও তাঁর এই আসনে মহাজোটের প্রার্থীর হবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এ বিষয়ে মাহাবুব আরা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারব বলে আশা করছি।’
অপর দিকে এই আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জেলা জাপার সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার শেষ মুহূর্তেও জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির করছেন। তাঁর সমর্থকেরা মনে করেন, তৃণমূল পর্যায়ে আবদুর রশিদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আবদুর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, ‘পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। এবার আর ছাড় নয়। দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমিই জয়ী হব।’
এই আসনে বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক শ্রমিকনেতা আনিসুজ্জামান খান এবং জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গাইবান্ধার কোনো আসনেই বিএনপির দলীয় প্রার্থী সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment