Monday, December 3, 2018

ওমরের পক্ষে আ.লীগ নেতা

ওমরের পক্ষে আ.লীগ নেতা

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুহম্মদ শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাছাই শুনানিকালে তাঁর মনোনয়নপত্রের বৈধতার পক্ষে বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ।
২০০৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিশেষ জজ আদালতে শাহজাহান ওমরের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে হাইকোর্ট থেকে খালাস পান তিনি। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দুদকের আপিল চলমান রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় সাজা ও পরে খালাস; এরপর দুদকের আপিল করার ঘটনায় শাহজাহান ওমর আসন্ন সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা এত দিন সংশয়ে ছিলেন। গত রোববার সকালে ঝালকাঠির জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্রের বৈধতার পক্ষে বলায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে এর কারণ সম্পর্কে জানা গেছে, শাহজাহান ওমর বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নীতিনির্ধারক। তাই কৌশলগত কারণে তাঁকে নির্বাচনের মাঠে টিকিয়ে রাখা গেলে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ঝালকাঠি-১ আসনে মনোযোগ দেবেন। ফলে ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জন্য মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সঙ্গে দলের নেতা–কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ইলেন ভুট্টোর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। দলটির জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে শোডাউন করেছিলেন।  
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। ওই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ওমরের মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করেন রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ।
এ বিষয়ে শাহজাহান ওমর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমার খালাসের আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করেননি। দুদক আপিল করলেও উচ্চ আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। যদি ভবিষ্যতে আমার দণ্ডাদেশ বহাল থাকে, তবে আমি সাংসদ হলেও তখন আমার পদ চলে যাবে। এখন পর্যন্ত আমি নির্দোষ।’
শুনানির একপর্যায়ে খান সাইফুল্লাহ বলেন, তাঁর (ওমর) খালাসের আদেশ যেহেতু উচ্চ আদালত বাতিল করেননি, তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ। আপত্তিকারী কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে আর অগ্রসর না হওয়া ভালো। তাঁরা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান।

No comments:

Post a Comment