শিল্পী হব, এমন স্বপ্ন ছিল না
অধিকাংশ সময় আপনার অভিনীত চরিত্রগুলো হয় বাউণ্ডুলে ধরনের, বাস্তবে জীবনেও আপনি কি তেমনই বাউন্ডুলে?
প্রথম কথা, বেশির ভাগ সময়েই আমি এ ধরনের নাটক করি না। হয়তো যে কয়টি নাটকে আমার চরিত্র বাউণ্ডুলে, ঠিক ওই নাটকগুলোই দেখা হয়েছে আপনার। কারণ এ ধরনের নাটকগুলোই বেশি ভাইরাল হয়। বাস্তব জীবনে আমি মিশ্র। কখনো বাউণ্ডুলে কিংবা সময়ের সঙ্গে সময়ের নিয়মে মিশে যাই।
কখনো রোমান্টিক, কখনো বাউণ্ডুলে, আবার কখনো গোছানো গ্রাজুয়েট এক ছেলে—বৈচিত্র্যময় এই চরিত্রগুলো তুলে ধরতে মানসিক পরিশ্রম কেমন হয়?
এ সময়ে যাঁরা নানা ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন, তাঁদের হয়তো মানসিক চাপ থাকতে পারে, কিন্তু আমার বেলায় এই মানসিক চাপ অনেক আগে ছিল। কাজ করতে করতে এখন আর চাপ মনে হয় না। এই চাপ সয়ে গেছে।
এবার কোটি টাকার প্রশ্ন—অভিনয় জীবনে এ পর্যন্ত কতটি নাটক/টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন?
আমি তো গুনে রাখিনি। বলা খুব কঠিন। তবে কোটি টাকা দিলে হয়তো গুনে গুনে বলতে পারি। হা হা হা....। ৫০০–এর মতো হতে পারে।
অভিনয় জগতে আসতে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে?
আমার কাছের মানুষেরা জানেন, আমার শুরুটা মডেলিং দিয়ে। পড়ালেখা করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হব—একসময় এ ধরনের স্বপ্ন ছিল। নাট্যাভিনেতা বা একজন শিল্পী হব, এমন স্বপ্ন ছিল না। অনেককে হয়তো কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, আমার সেই অর্থে হয়নি। আমি ভাগ্যবান। তবে এরপর নিজেকে একজন অভিনেতা হিসেবে তুলে ধরার জন্য, ওই চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলা কিংবা নিজেকে ভাঙা–গড়ার জন্য আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে, হচ্ছে। একটা জায়গায় নিজেকে নিতে হলে সংগ্রাম করতেই হবে।
অভিনয়জীবনে নিজেকে কীভাবে তুলে ধরার ইচ্ছা ছিল?
সব সময়ই একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে দেখতে চেয়েছি। অভিনয়জীবনে সাদামাটা থাকতে পছন্দ করি। এখনো পাড়ার গলির মুখে দাঁড়িয়ে দুই টাকার চা খাই। সরি, এখন চায়ের দাম পাঁচ টাকা হয়ে গেছে! হা হা হা... সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করি। কারণ এতে করে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র কাছ থেকে দেখা যায়, শেখা যায়। তথাকথিত হিরো হওয়ার ইচ্ছা ছিল না কোনো দিনই।
No comments:
Post a Comment