মির্জা আজমের নগদ টাকা
পাঁচ বছর আগে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের হাতে নগদ ছিল ১৮ লাখ টাকা। এখন তাঁর কাছে আছে নগদ ৬ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে প্রতিমন্ত্রীর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ সাড়ে ৩৩ গুণ বেড়েছে। একাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পাঁচ বছর আগে প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের মূল্য ছিল ১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬১ টাকার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৯ টাকা।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মির্জা আজমের বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪২ টাকা। গত পাঁচ বছর ধরে মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ বেড়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মির্জা আজমের স্ত্রীর গয়না ছিল ৬২ ভরি। পাঁচ বছর পর তাঁর স্ত্রীর গয়না হয়েছে ২০০ ভরি। তবে এই সম্পদের মূল্য কত, তা উল্লেখ করা হয়নি। ২০১৩ সালে মির্জা আজমের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে মির্জা আজমের স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির বেড়ে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকা হয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের স্ত্রীর নামে দালান, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের তথ্য ছিল না। এবারের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭ টাকা মূল্যের দুটি দালান এবং ২ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০ টাকা মূল্যের ১টি ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment